Original upload date: Sat, 30 Dec 2023 00:00:00 GMT
Archive date: Sun, 31 Dec 2023 04:17:07 GMT
নতুন করে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী || Bangladesh Election Update News || BnP News Update
___________________________
#ElectionNews #sheikhhasina #bnpnews #banglanews #bdelection #bdnews
__
...
_________________________
বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের ভোটের প্রাথমিক ফল ঘোষণার পর পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতা না পাওয়া নিয়ে নানা ধরণের বিতর্ক শুরু হয়েছে।
নির্বাচন বিশ্লেষকদের মধ্যে অনেকে বলছেন যে, এই ক্ষমতা না পেলেও কমিশনের সার্বিক ক্ষমতা কমবে না। আবার নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন যে, নির্বাচন কমিশন মন্ত্রীসভার কাছে এই ক্ষমতা চেয়েই আসলে তাদের ক্ষমতা কমিয়ে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রীসভায় ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। গত বছর এই সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
এই সংশোধনী প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের একটি বিধান স্পষ্ট করার জন্য নতুন আরেকটি উপধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করেছিল।
যেখানে বলা হয়েছিল, নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণার পর তা গেজেট আকারে প্রকাশের আগে অনিয়ম বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ পেলে কোন ভোটকেন্দ্র বা পুরো আসনের নির্বাচনের ফল স্থগিত করতে পারবে। পরে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে পুরো আসনের ভোট বাতিল করে আবারো নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
তবে মন্ত্রীসভা পুরো আসনের নির্বাচন বাতিলের এই ক্ষমতা ইসিকে দেয়নি। এই সময়ের মধ্যে পুরো আসনের না হলেও অনিয়মের অভিযোগ থাকলে সেই সংখ্যক ভোট কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিলের মতো আংশিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
গত বছরের ১২ই অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
সেসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, "আমরা প্রথম থেকেই লক্ষ্য করেছি যে ভোটগ্রহণে অনিয়ম হচ্ছে। অনেক কেন্দ্রেই আমরা গোপনকক্ষে অবৈধ অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করেছি।"
গাইবান্ধার ওই আসনের উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ বন্ধ করে সরকারি দলীয় নেতাদের বেশ সমালোচনার মুখেই পড়েছিল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, গাইবান্ধার মতো নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সেটি বাতিল করার ক্ষমতা এখনো নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে গণপ্রতিনিধিত্ব আইনেই দেয়া আছে।
উনিশশো বাহাত্তর সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৭ম অধ্যায়ের ৯১(ক) ধারায় বলা হয়েছে যে, নির্বাচনে বলপ্রয়োগ, ভীতি-প্রদর্শন ও চাপ সৃষ্টিসহ বিবিভন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে যুক্তিযুক্ত, ন্যায়সঙ্গত এবং আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করতে, নির্বাচন কমিশন যে কোনো ভোট কেন্দ্র বা (ক্ষেত্রমতে সম্পূর্ণ নির্বাচনি এলাকায়) নির্বাচনের যেকোন পর্যায়ে ভোট গ্রহণসহ নির্বাচনি কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে।